রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির চাপে পড়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতাদেশগুলো। এ সময় অনেক ক্রেতা তাদের ক্রয়াদেশ ফিরিয়েও নেয়। তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের কপালে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৯৭ শতাংশ যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪.১২ শতাংম কম। আর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে ৫.৭৭ শতাংশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই তৈরি পোশাক খাতে প্রণোদনা কমিয়ে দেয় সরকার।
তাই আসছে অর্থবছরে নগদ সহায়তার উপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি পোশাক মালিকদের। আর পোশাকের ন্যায্য দাম নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করতে নীতিসহায়তাও চান তারা।
বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, 'যারা আমাদের মূল প্রতিযোগী দেশ, তারা যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে আমাদের কিন্তু সেগুলোই তাদের সাথে কম্পেয়ার করতে হবে। অনেক জায়গা থেকে ব্যবসা আসছে। এই ব্যবসা আসা ভালো সাইট। কিন্তু সে ব্যবসা কতটুকু করা যাবে সেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এছাড়া বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রণোদনা অব্যাহত রাখাসহ একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন বিজিএমইএ'র নতুন সভাপতি এস এম হান্নান।
তিনি বলেন, 'পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির ওপর কর রেয়াতহারে আমদানি করার সুযোগ যুক্তিযুক্ত। বিকল্প নগর সহায়তা দেওয়ার আগে এটা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা অনুরোধ করছি।'
বিশ্ববাজারের মাত্র ৭.৮৭ শতাংশ বাংলাদেশি পোশাকের দখলে। সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এই পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনি পোশাক খাতের হাত ধরে দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে বলে মনে করেন রপ্তানিকারকরা।