কোনো কোম্পানির মূলধনি আয়ের বাইরে কোনো ব্যয় থাকলেও তার লাভ লোকসান বিবেচনায় করহার নির্ধারণ হয় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
এই ব্যয়কে কোম্পানির মূল কর্পোরেট করের কাঠামোতে ফেললে করহার সাড়ে ২২ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত।
তবে এ নিয়ে বরাবরের মতোই আপত্তি ব্যবসায়ীদের। এক্ষেত্রে আলাদা হিসাব চান তারা। প্রাক-বাজেট আলোচনায় আগামী বাজেটে এ জটিলতা সমাধানের আশ্বাস এনবিআর চেয়ারম্যানেরও।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘তিনটার মধ্যে যেটা বেশি। ১২ শতাংশের কাছেও নাই। পয়েন্ট ৬ শতাংশ টার্ন ওভার হয় অথবা টিডিএস ট্যাক্স হয়। আর ১২ শতাংশ অনেক লো হয়। তাহলে এই বদনাম নিবেন কেন?’
আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ চেম্বার্সসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগের সব চেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আলোচনায় টার্নওভার কর, করপোরেট কর, সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর, কল্যাণ তহবিল ও নির্ধারিত আয়করে কাটছাটের দাবি জানান তারা। সংশোধনের প্রস্তাব করেন বিভিন্ন ধারা।
আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যথাযথ বিবেচনা ছাড়া কর অব্যাহতি দিলে এর অপব্যবহার হয়। তবে, এবার বাজেটে টার্নওভার করের বিধানে সংশোধন আসবে বলে জানান তিনি। মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট-ট্যাক্স আহরণে ব্যবসায়ীদের আরও আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান চেয়ারম্যানের।
চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘অ্যাকাউন্টিং বেজড হবে এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ইনপুট ভ্যাট ক্রেডিট নেয়ার জন্য রিসিটি নিবে। এইটাই তো ছিল এর মূল শক্তি।’
শিগগিরই বন্ড অটোমেশন পুরোপুরি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বয়ংক্রিয় রিটার্ন প্রস্তুত ও ভ্যাট সংগ্রহে বিভিন্ন কোম্পানির সফটওয়্যারের সঙ্গে আইবাসের সংযুক্তি করতে উদ্যোগ নিবে সরকার।