করদাতার সংখ্যা বাড়াতে ও রাজস্ব আদায়কে আরও গতিশীল করতে মাঠ পর্যায়ে সরাসরি কাজ করছে আয়কর বিভাগ। কর অফিসে এসে ঝামেলা পোহানোর পরিবর্তে এবার জনগণের দ্বারপ্রান্তে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সংস্থাটি।
ঘরে বসে আয়কর বিভাগের এমন সেবা পেয়ে খুশি অনেকেই। গ্রাহকরা বলছেন কর বিভাগের এমন কার্যক্রমে রাজস্ব বাড়বে সরকারের। পাশাপাশি, আয়কর বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, 'আগে আয়কর দিতে মানিকগঞ্জ যেতে হতো। এবং উকিল ধরে এক থেকে দুই বা তিনদিন সয় লেগে যেতো। স্পটে কর নির্ধারণ সিস্টেম চালু হওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত।'
কর বিভাগ, 'আয়কর আইন, ২০২৩' এর ১৯৫ ধারার প্রবিধান অনুযায়ী স্পটে কর নির্ধারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর জমা সংক্রান্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানালেন এই কর কর্মকর্তা।
কর অঞ্চল-২৫ এর অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার আবুল হোসেন বলেন, 'আমরা স্পটে সবকিছু করে দিচ্ছি। কজন করদাতার টিআইএন রেজিস্ট্রেশন মরা খানে বসেই করে দিচ্ছি। খানে রিটার্ন ফিলাপ করে দিচ্ছি, অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়ে দিচ্ছি। এখানে বসেই আমরা অনলাইনে তার ট্যাক্স জমা দিয়ে দিচ্ছি। এবং থেকেই সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি।'
ব্যবসায়ীরা যেন সহজে কর পরিশোধ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর বিভাগ। সেই লক্ষ্যে স্পটে কর নির্ধারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।