বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় গরম মসলার চাহিদা বেশি থাকে কোরবানির ঈদের সময়। ঈদের একমাসের বেশি সময় বাকি থাকলেও এরইমধ্যে বাজারে প্রায় সব ধরণের মসলার দাম এক দফা বেড়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে এলাচ, জিরা, লবঙ্গসহ অন্যান্য মসলা জাতীয় পণ্য।
তবে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এলাচের। সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে এলাচ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। গেল এক বছরে এই পণ্যটির দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৩০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৩৫০ আর গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজিতে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে দারুচিনি ও ধনিয়ার দাম। বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৩৮০ টাকা ও ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায়।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমদানিকারকরা বারবার একটা কথা বলছেন যে আমদানি খরচ বাড়ছে। এদিকে তারা এলসি করতে পারছে না। ভারত থেকেও অনেক সময় পণ্য দিচ্ছে না। এর মধ্যে ডলারের দামও বাড়ছে।'
এদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ডাল জাতীয় পণ্যেও। সপ্তাহ ব্যবধানে খাতুনগঞ্জের বাজারে সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২১ থেকে ১৪৪ টাকা, মসুর ৯৭ থেকে ১২২টাকা, এ্যাংকর ডাল ৭১ টাকা আর চনার ডাল ৯৬ থেকে ৯৭ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একজন আমদানিকারক বলেন, 'ডলারের দাম ৭ টাকা করে বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। বর্তমানে যে এলসিগুলো হচ্ছে সেগুলোতে ব্যাংকের সাথে কথা হয় একটা কিন্তু পণ্য যখন আসে সে সময়ের ডলারের দামে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।'
আমদানিকারক এবং বিক্রেতারা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে শতভাগ আমদানি পণ্যগুলোর দাম শিপিং, কন্টেইনার ভাড়াসহ বিভিন্ন ধাপে বেড়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়ছে। ডলারের দাম বাড়ায় অনেক আমদানিকারক পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে কোরবানির আগে চাহিদার শীর্ষে থাকা মসলা জাতীয় পণ্যের সরবরাহ সংকট হবে না বলছেন তারা।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, 'ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে।'
ঈদের আঁচ লাগতেই মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। তার সাথে আমদানি, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের দামে বিস্তর ফারাক দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ক্রেতাদের।