এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই বছর হাতে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে চান ব্যবসায়ীরা৷ কিন্তু এ অবস্থায় ডলারের সংকট ও দাম বাড়াসহ জ্বালানি ও অন্যান্য সংকটের দ্রুত নিরসন চান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। থামেনি কাস্টমসে জটিলতা। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের উৎপাদন খরচ ও বিক্রয়ের সমন্বয় করতে সরকারের কাছে সব ধরনের সহযোগিতা চান তারা।
আজ (মঙ্গলবার, ১৪ মে) এফবিসিসিআই কার্যালয়ের এক সেমিনারে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে একমত জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সনদ গ্রহণে রাজস্ব খাতে নীতিগত সংস্কার, সুদের হার কমানোসহ সহজ করতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের সেবা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, 'সনদ গ্রহণ সহজ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কাজ করছি।'
এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, 'এলডিজি থেকে উত্তোরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৬ দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। নির্দিষ্ট দেশের ওপর থেকে আমদানিনির্ভরতাও কমিয়ে আনা দরকার। আমদানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দুই-একটি দেশের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে বাংলাদেশ।'
সেমিনারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কাঁচামাল আমদানি সহজ করা ও প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবিও জানান ব্যবসায়ীরা।