মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। এতে আমদানি-রপ্তানিতে জটিলতা নিরসনসহ শুল্ক ও ভ্যাট ট্যাক্সে কাটছাট চেয়েছেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএ নেতারা।
উৎপাদন খাতে বিভিন্ন পর্যায়ে শুল্ক ও করে ছাড় থাকলেও আমদানি-রপ্তানিতে এইচএস কোডের জটিলতা ও পণ্য খালাসে হয়রানির অভিযোগ কমছেই না। আন্তর্জাতিক বাজারে টেক্সটাইল প্রযুক্তি, বিভিন্ন ধরণের সুতা ও কৃত্রিম তন্তুর চাহিদা বাড়ছে।
তবে সমানতালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এইচএস কোডে তা যুক্ত করতে না পারায় এবং শুল্ক সমন্বয় না করায় কাঁচামাল আমদানিতে খরচ বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে বলে দাবি শিল্প সংগঠনগুলোর।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘এইচএস কোডের বিষয়ে সুরাহা করার জন্য এনবিআর থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফিল্ড লেভেলে তা মানা হয় না। ৩০ বছর আগে বন্ড লাইসেন্স নেওয়ার সময় যেসব পণ্য ছিল, এখন নতুন নতুন পণ্য যুক্ত হচ্ছে । ফলে নতুন নতুন কাঁচামালের তালিকা এইচএস কোডে যুক্ত করা দরকার হচ্ছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে সেটি আমাদেরকে প্রয়োজন মত দেওয়া হচ্ছে না।’
পোশাক শিল্প সংগঠনের নেতারা বলছেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্সে দেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ায় এ প্রবৃদ্ধি।
কিন্তু এক তৃতীয়াংশ রপ্তানির গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। এছাড়া তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, শিল্পোৎপাদনে দেয়া ছাড়ের অপব্যবহার হবে না- এ নিশ্চয়তা দিতে হবে। দেশে সুতো তৈরিতে উৎসাহ দিতে কৃত্রিমভাবে তৈরি তন্তুতে আমদানি শুল্ক অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'গার্মেন্টস জুট অথবা রিসাইকেল পণ্যগুলোয় আমরা প্রণোদনা দিতে চাই। একটা প্রণোদনা দেয়ার পর অপব্যবহারের কারণে অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও ভুক্তভোগী।'
শিল্প খাতে পুনঃনবায়নযোগ্য পণ্য তৈরি ও ব্যবহারে প্রণোদনার আশ্বাসও দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।