আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

চট্টগ্রাম বন্দরে চিনি ও তেলের খালাস বেড়েছে

রমজানের চার নিত্যপণ্যে শুল্ক কমানোর পর চট্টগ্রাম বন্দরে চিনি ও ভোজ্যতেলের খালাসের পরিমাণ বেড়েছে। তবে ভোজ্যতেল ছাড়া চিনি, চাল ও খেজুরের দাম তেমন কমেনি। আর খেজুর খালাসে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ সিএন্ডএফ এজেন্টদের।

রমজানের চার নিত্যেপণ্যে শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ আগেভাগে আমদানি করলেও পণ্য খালাস করেননি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি চিনি, ভোজ্যতেল খেজুর ও চালের শুল্ক কমিয়ে এনবিআর-এর প্রজ্ঞাপন জারির পর এসব পণ্য খালাসে তৎপর হন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য বলছে, শুল্ক কর কমানোর পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে নতুন শুল্ক হারে প্রায় ৯৯ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল খালাস হয়েছে। আর চিনি প্রায় ৫ হাজার ৫৮৪ মেট্রিক টন এবং খেজুর খালাস হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার মেট্রিক টন। মানভেদে প্রতি কেজিতে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমেছে ১৫ থেকে ৫৭ টাকা পর্যন্ত, সয়াবিন তেলে ছয় থেকে সাড়ে ছয় টাকা এবং পাম তেলে কমেছে ৫ টাকা পর্যন্ত। তবে চিনি আমদানিতে শুল্ক কর কমেছে মাত্র ৫০ থেকে ৬৮ পয়সা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, ‘শুল্ক কমানোর পর থেকে প্রচুর পরিমাণে খেজুর আমদানি হচ্ছে। আর চিনির ক্ষেত্রে খুব বেশি শুল্ক কমেনি।’

খেজুরে শুল্ক বেশি কমলেও মূল্য বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি সিএন্ডএফ এজেন্টদের। শতভাগ খেজুর কায়িক পরীক্ষা হওয়ায় খালাসে বিলম্বে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। তাই বাজারেও খেজুরের দাম কমেনি।

সিএন্ডএফ এজেন্ট মাহবুবুর রহমান সাগর বলেন, প্রত্যেকটা কন্টেইনার খোলার পর সময় বেশি লাগছে, এজন্য ড্যামেজও হচ্ছে। এতে করে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

যদিও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে প্রতিটি চালানের কিছু খেজুর পরীক্ষা করা হলেও দ্রুত খালাস দেয়া হচ্ছে।

কাজী ইরাজ ইশতিয়াক আরও বলেন, ‘অনেকসময় উচ্চ শুল্কহারে খেজুর এনে নিম্ন শুল্কহারে ঘোষণা দেয়ার একটা প্রবণতা থাকে। আমরা এরকম বেশকিছু ঘটনাও পেয়েছি।’

এদিকে শুল্ক কর কমানোর পর ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমলেও কমেনি চিনির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী চিনিতে শুল্ক না কমায় দাম কমেনি।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো. আলমগীর পারভেজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পামওয়েলের দাম একটু বেশি। চিনির বাজারও মোটামুটি আছে, তবে শুল্ক নামমাত্র কমানো হয়েছে।’

কাস্টমের তথ্য বলছে, জুলাই থেকে জানুযারি পর্যন্ত সাত মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গেল বছরের চেয়ে চিনি ৪১ শতাংশ ও ভোজ্যতেল আমদানি বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। এই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ১২ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন আর চিনি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। তবে কমেছে খেজুর আমদানি।