আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

'দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত মানছেন ব্যবসায়ীরা'

রমজানে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের নীতি সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীরা মেনে চলছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তবে ডলার ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনীতিকে ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা কঠিন হবে বলেও মনে করেন তিনি।

২০৩০ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরে নিয়ে যেতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে করোনা মহামারি থেকে এখন পর্যন্ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

বৈশ্বিক সংকটে টাকার বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম। বিশ্বব্যাপী ডলারের দামের বিপরীতে অন্যান্য মূদ্রার অবমূল্যায়ন ও টাকার মান কমেছে। এতে ব্যবসায় মূলধনের চাহিদা ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়লেও সে অনুযায়ী ব্যবসা বেড়েছে মাত্র ১০ শতাংশ।

ব্যাংকগুলোর কাছে গত একবছর ধরে ডলার তারল্যে ঘাটতি থাকায় আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসায় বাড়ানোর জন্য যে সকল উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তা এখন থেকেই শুরু করতে হবে। ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে যাওয়ার যে লক্ষ্য তা পূরণ করতে হবে আগামী ছয় বছরে।

এসব উদ্যোগ আরও পরে শুরু করলে ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা এ কথা জানান তিনি। কেবল ডলার সংকট নয়, জ্বালানি নিরাপত্তা সংকটেও পড়ছে বাংলাদেশ।

আশরাফ আহমেদ বলেন, 'আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা আমদানি করে পারছি না। ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট পরিমাণে ডলার তারল্য নেই। এটা যেমন গত একবছর ধরে আমাদের ভোগাচ্ছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক যেমন আমদানি বাধা-নিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিল। যতক্ষণ ডলারের এই সমস্যার সমাধান না হবে, ততক্ষণ আমরা যেভাবে চাই সেভাবে আমদানি করাটা সম্ভব হচ্ছে না।'

এদিকে আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নীতি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীরা সেটা অনুসরণ করছে বলে দাবি করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।

তিনি আরও বলেন, 'কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য সরকার নিদির্ষ্ট মূল্য বেধে দেয়। এটা আইন অনুসারেই করা হয়। এটার তদারকি কিভাবে করবে সেটার একটা প্রক্রিয়া উনাদের আছে।'

অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ব্যবসায় রিটার্ন বেশি হওয়ায় এদেশের ব্যবসায়ীরা মানি লন্ডারিং করার কথা নয়। যারা করছে তারা অন্য কোন কারণে করে থাকে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।