বেপজার আওতায় দেশের ৮টি ইপিজেডে সাড়ে ৪০০ উৎপাদনরত ইউনিটের প্রতিদিনকার বিদ্যুৎ চাহিদা সর্বোচ্চ আড়াইশো মেগাওয়াটের মতো। এর মধ্যে নিজস্ব পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদন হয় ১০০ মেগাওয়াট। বাকিটা আসে জাতীয় গ্রিড থেকে। তাই, শিল্প কারখানাগুলোকে নিজেদের সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাগিদ জ্বালানি বিভাগের।
বেপজা বলছে, নিজস্ব কারখানায় ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে তারা। আর ইপিজেড কারখানাগুলো নিজেদের ছাদে সোলার বসাতে আগ্রহী। সব মিলে সোলার থেকেই বিদ্যুৎ আসবে অন্তত ১০০ মেগাওয়াট। এজন্য বিদেশি সোলার আমদানিতে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত শুল্ক থেকে আরও কাটছাঁট চান তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় ইপিজেডের জন্য আরও বেশকিছু মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্ক ছাড় চায় বেপজা। অপর দিকে কাস্টমসে হয়রানি নিরসনে বেশকিছু প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ চায়না চেম্বার্স ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার্সসহ বেশ কয়েকটি খাতের সংগঠন। এছাড়া ১৫০টির বেশি পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে টার্ন ওভার করছাড়ের দাবি জানায় বিল্ড। প্রস্তাব আসে তামাকজাত পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর।
তবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলছে, আমদানিতে শুল্ক ছাড় সুবিধা নিয়ে তার অপব্যবহার করে এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে ইপিজেডও। এজন্য সহজেই শুল্ক ছাড় দিচ্ছেন না তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, 'যখন আমরা নিশ্চিন্তে থাকি ইপিজেডকে এতো সুবিধা দিয়েছি যে এর কোন অপব্যবহার হবে না। তারপরেও যখন আমাদের কাছে প্রমাণ আসে ইপিজেটের ভিতরের প্রতিষ্ঠান অপবৃত্তিতে জড়িত। তখন মনটা ভেঙে যায়। তখন মনে হয় না যে আর সুযোগ দেওয়া উচিত হবে।'
চট্টগ্রাম কাস্টমসের চাপ কমাতে পানগাঁওসহ ঢাকার আশাপাশে কাস্টমগুলোতে সক্ষমতা বাড়ানো ও কার্গো নজরদারিতে ট্র্যাকিং পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।