হবিগঞ্জে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর

0

দেশের ২৩ তম স্থলবন্দর হতে চলেছে হবিগঞ্জের বাল্লায়। এরইমধ্যে বন্দরের উন্নয়নকাজ প্রায় শেষ। নির্বাচনের পরই উদ্বোধন করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কেদারকোট এলাকার ১৩ একর জায়গায় দেশের ২৩তম স্থলবন্দরের প্রকল্প নেয়া হয়। সীমানা প্রাচীর, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, গোডাউন, প্রবেশদ্বার-বের হওয়ার পথ, ইয়ার্ড, ওয়্যার হাউস, ওয়াচ টাওয়ারসহ বন্দরের অবকাঠামোর কাজ প্রায় ৯৯ শতাংশ শেষ।

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় বন্দরের ভেতরেই তৈরি করা হয়েছে পুকুর। ইমিগ্রেশন ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধাই রাখার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাল্লা স্থলবন্দরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের বলেন, 'ইতিমধ্যেই আমাদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্তৃপক্ষের যখন ইচ্ছে উদ্বোধন করতে পারে।'

বন্দরটি চালু হলে ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়সহ ৭টি রাজ্যে প্রবেশের অন্যতম দ্বার হবে এটি। তবে এই বন্দর দিয়ে কোন ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে সেটি এখনও নির্ধারণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন হবিগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্পকারখানার উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী, খাদ্যপণ্য, মাছ, পাথর, সিমেন্ট, ইট, বালি ও শুঁটকি ভারতে রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

আমদানি-রপ্তানিকারকরা বলেন, 'এই রুট চালু হয়ে গেলে আমাদের কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। গাড়ি টু গাড়ি লোড-আনলোড হবে। পরিবহন খাতের সাথে যারা সম্পৃক্ত আছেন তাদের ব্যবসার গতি বাড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক চঞ্চলতা তৈরি হবে।'

বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এখনই এর উদ্বোধন হচ্ছে না। তবে নির্বাচনের পরপরই এটি খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্দরটিকে ঘিরে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী বলেন, 'বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আসার পরিবর্তে এখান দিয়ে আসবে। আমাদের দেশ থেকে পণ্য যাবে আবার তাদের দেশ থেকেও আসবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।'

পণ্য ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, বন্দরের কার্যক্রম শুরু হলে এখানে ব্যাংক, বীমা, মানি চেঞ্জারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের।