জাহাজ মালিকদের একাংশের আমদানি পণ্য খালাস বন্ধের ঘোষণায় তৈরি হয়েছে সংকট। নতুন সংস্থার কাছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে পণ্য খালাস বন্ধ করেছেন 'ডব্লিউটিসি'র জাহাজ মালিকরা।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় দুই হাজার লাইটারেজ জাহাজ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দরে পণ্য পরিবহন করে। জাহাজ মালিকদের তিনটি সংগঠনের সমন্বয়ে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল এতদিন এসব জাহাজ নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু বিরোধ দেখা দেয় ঢাকা ও চট্টগ্রামের জাহাজ মালিকদের সংগঠনের মধ্যে।
সম্প্রতি ডব্লিউটিসি পরিচালনায় অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন চট্টগ্রামের লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের সংগঠন ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশন অব চট্টগ্রাম। এর জেরে ডব্লিউটিসি থেকে বের হয়ে গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পৃথক সেল করে সংগঠনটি। গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জাহাজ পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে তারা।
এর এক দিনের মাথায় আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে ঢাকার জাহাজ মালিকরা। এ অবস্থায় সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে পণ্য পরিবহনে সংকটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, আলাদা হয়ে যাওয়া মালিকদের কাছ থেকে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা পাওনা আছে তাদের।
ডব্লিউটিসি’র সদস্য জাহাঙ্গীর আলম দোভাষ বলেন, ‘টাকা পাবে কোথা থেকে এই আশঙ্কায় জাহাজ মালিকরা এখন ভয়ে আনলোডিং বন্ধ রেখেছে।’
চট্টগ্রামের জাহাজ মালিকরা বলছেন, পণ্য খালাস বন্ধ কোনো সমাধান না। এক্ষেত্রে আমদানিকারকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নিতে পারেন আইনি সহায়তা।
এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে দু'পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি তাদের।
মূলত বন্দরের জেটিতে ভিড়তে না পারা খোলা পণ্যের বড় জাহাজ বহির্নোঙরে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে। বড় শিল্প গ্রুপ নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে তাদের পণ্য পরিবহন করলেও বেশিরভাগেরই ভরসা লাইটারেজ জাহাজ। আর এসব জাহাজে করেই সারাদেশে পণ্য পরবিহন হয়।