সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর এক বিশেষ আদেশে চলতি কর বছরে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, মৃত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া সব ব্যক্তি করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে অব্যাহতি পাওয়া করদাতারা ইচ্ছা করলে অনলাইনেই রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন।
অন্যদিকে ই-রিটার্ন নিবন্ধন সমস্যার কারণে কোনো করদাতা যদি অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে না পারেন, তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যুক্তিসহ আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের অনুমোদনক্রমে পেপার রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন:
এ বছর করদাতার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরাও অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতারা পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা [email protected]এ পাঠালে তাদের কাছে ওটিপি (OTP) ও নিবন্ধন লিংক পাঠানো হচ্ছে, যার মাধ্যমে সহজেই রেজিস্ট্রেশন ও রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে।
কাগজপত্র আপলোড ছাড়াই আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়সংক্রান্ত তথ্য ই-রিটার্ন সিস্টেমে এন্ট্রি করে করদাতারা ঘরে বসেই ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা এমএফএসের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধ করতে পারছেন। রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ ও আয়কর সনদ প্রিন্ট করার সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে।
করদাতাদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি—আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও চার্টার্ড সেক্রেটারিদেরও ই-রিটার্ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে এনবিআর।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরে কল সেন্টার চালু রয়েছে। এছাড়া (www.etaxnbr.gov.bd) এর ই-ট্যাক্স সার্ভিস অপশনে লিখিত অভিযোগ জানালে তার সমাধান দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক থেকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এনবিআর সব ব্যক্তি করদাতাকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে ২০২৫-২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ জানিয়েছে।





