গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয় আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ১.১৫ বিলিয়ন বা ১১৫ কোটি ডলার। এছাড়া অন্যান্য উৎস যেমন কোরিয়া, আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (আইবিআরডি), ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ হয়েছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭.১৫ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী, ২৭ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ওইদিন ওয়াশিংটনের সদর দপ্তরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কিস্তির অনুমোদন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এতে করে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। মার্চের শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রিজার্ভের নিম্নগতি দেখা যায়।