আজ (রোববার, ৩১ মার্চ) এক সার্কুলার জারি করে এ সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা আগামীকাল ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
মার্চের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকঋণে সুদহার ছিল ১২.৪৩ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণে সুদ ছিল ১৩.৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই হার ছিল যথাক্রমে ছিল ১১.৮৯ শতাংশ এবং ১২.৮৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭.১০ শতাংশ, আগস্টে ৭.১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭.২০ শতাংশ। অক্টোবরে ৭.৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭.৭২ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৮.১৪ শতাংশে, জানুয়ারিতে ছিল ৮.৬৮ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৯.৬১ শতাংশ এবং সবশেষ মার্চে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ১০.৫৫ শতাংশে উঠেছে।
সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বজায় রাখতে ঋণের সুদহার নির্ধারণের 'স্মার্ট' মার্জিন রেট দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দশমিক ২৫ শতাংশ কমিয়েছিল। অর্থাৎ দুইমাসে কমলো দশমিক ৭৫ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন 'স্মার্ট'র সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এতদিন ছিল ৩.৫০ শতাংশ। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের 'স্মার্ট' হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে, যা আগে ছিল ২.৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, মার্চ মাসের 'স্মার্ট' হারের সঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে এপ্রিল মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
মার্চে 'স্মার্ট' হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে এপ্রিলে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসাবে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩.৫৫ শতাংশ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের 'স্মার্ট' হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ হবে। অর্থাৎ এপ্রিলে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২. ৫৫ শতাংশ। যা মার্চে ছিল ১২.১১ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ১১.৪৩ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১০.৮৯ শতাংশ।
তবে এপ্রিলে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪.৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো 'এসএমএআরটি' বা 'স্মার্ট এসএমএআরটি' বা 'স্মার্ট' তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।