নগদ টাকা দেখানোর সঠিক নিয়ম (Rules for Showing Cash)
আয়কর বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার কাছে বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে যে পরিমাণ নগদ অর্থ আছে, রিটার্নে সেটিই দেখানো উচিত। সামান্য কমবেশি হলে সাধারণত বড় কোনো সমস্যা হয় না। তবে কর নথিতে অস্বাভাবিক বা আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ অনেক বেশি নগদ টাকা দেখানো মোটেও নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন:
অস্বাভাবিক নগদ টাকা প্রদর্শনের ঝুঁকি (Risks of Showing High Cash)
যদি আপনার বার্ষিক আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের তুলনায় নগদ টাকার পরিমাণ অনেক বেশি দেখান, তবে ভবিষ্যতে আপনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (National Board of Revenue - NBR) জেরার মুখে পড়তে পারেন। কর কর্মকর্তারা এই টাকার উৎস (Source of Fund) সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে ওই টাকাকে ‘অপ্রদর্শিত আয়’ হিসেবে গণ্য করে জরিমানা ও অতিরিক্ত কর আরোপ করা হতে পারে।
আয়কর রিটার্নে নগদ টাকা কত দেখাবেন? অতিরিক্ত টাকা দেখালে কি অডিটের ঝুঁকি বাড়ে?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতাদের অন্যতম প্রধান দুশ্চিন্তা থাকে হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ নিয়ে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (National Board of Revenue - NBR) নিয়ম অনুযায়ী, সম্পদ, দায় ও ব্যয়ের বিবরণীতে প্রতি বছরের ৩০ জুন তারিখে করদাতার হাতে প্রকৃতপক্ষে যে পরিমাণ নগদ অর্থ থাকে, তা-ই দেখাতে হয়।
আরও পড়ুন:
কত টাকা দেখানো নিরাপদ? (How much cash is safe?)
কর নথিতে নগদ কত টাকা উল্লেখ করবেন, তা মূলত নির্ভর করে আপনার আয় (Annual Income) এবং জীবনযাত্রার মানের ওপর। সাধারণত ঘর খরচ বা দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য মানুষের হাতে কিছু নগদ টাকা থাকে। বর্তমানে ডিজিটাল পেমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড ও এমএফএস (MFS - Bkash/Nagad) ব্যবহারের ফলে সাধারণ করদাতাদের হাতে আগের মতো খুব বেশি নগদ টাকা রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
তবে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির ভিন্নতা থাকতে পারে। ব্যবসার প্রয়োজনে তাদের হাতে নগদ টাকা (Cash at Hand for Business) বেশি থাকা স্বাভাবিক। এই ব্যতিক্রম ছাড়া একজন সাধারণ চাকরিজীবী বা পেশাজীবীর ক্ষেত্রে নগদ টাকার পরিমাণ যৌক্তিক হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন:
অস্বাভাবিক নগদ টাকা প্রদর্শনের ঝুঁকি (Risks of High Undisclosed Cash)
অনেকেই ভবিষ্যতে জমি কেনা বা অন্য কোনো বড় বিনিয়োগের কথা চিন্তা করে রিটার্নে লাখ লাখ বা কোটি টাকা নগদ দেখিয়ে রাখেন। ট্যাক্স বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত।
অডিট বা নিরীক্ষা (Tax Audit): অস্বাভাবিক নগদ টাকা দেখালে আয়কর বিভাগ থেকে যেকোনো সময় আপনার ফাইলটি অডিটের আওতায় পড়তে পারে।
উৎসের প্রমাণ (Source of Fund): অডিটের সময় এই বিপুল পরিমাণ নগদের উৎস প্রমাণ করতে না পারলে আপনি বড় অংকের জরিমানা ও আইনি জটিলতায় পড়বেন।
দীর্ঘমেয়াদী ভোগান্তি: একবার নথিতে ভুল বা অস্বাভাবিক তথ্য দিলে সেই জের বছরের পর বছর টানতে হয়, যা সহজে বন্ধ করা যায় না।
আয়কর রিটার্নে সবসময় সত্য তথ্য প্রদান করুন। কৃত্রিমভাবে নগদ টাকার পাহাড় না দেখিয়ে আপনার আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থিতিশীল তথ্য উপস্থাপন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন:
আয়কর রিটার্নে কেন অনেকে বেশি নগদ টাকা দেখান? আইনি ফাঁকফোকর নাকি ভবিষ্যতের সুরক্ষা?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় অনেক করদাতাকেই দেখা যায় তাদের প্রকৃত আয়ের চেয়েও বেশি নগদ টাকা (Cash in Hand) নথিতে প্রদর্শন করতে। আপাতদৃষ্টিতে এটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও, অনেক করদাতা ভবিষ্যতের বড় কোনো বিনিয়োগকে বৈধতা দিতেই এই কৌশলের আশ্রয় নেন।
ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের সুরক্ষা (Securing Future Investment)
অনেকে রিটার্নে নগদ টাকা বেশি দেখান মূলত আইনের কিছু ফাঁকফোকর ব্যবহার করে। ভবিষ্যতে যাতে বড় কোনো স্থাবর সম্পত্তি বা জমি কেনার সময় আয়ের উৎস (Source of Income) দেখাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্যই আগেভাগে নথিতে নগদ টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে রাখা হয়। যখন ওই নগদ টাকা দিয়ে জমি কেনা হয়, তখন কর নথিতে তা সহজেই ‘নগদ টাকা থেকে বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখানো সম্ভব হয়।
অনানুষ্ঠানিক সঞ্চয় ও সামাজিক প্রথা (Informal Savings & Social Practice)
আমাদের দেশে বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী বা আত্মীয়স্বজন মিলে সমবায়ের মতো করে টাকা জমানোর একটি পুরোনো প্রথা রয়েছে। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এসব সঞ্চয়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক দলিলাদি বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট (Bank Statement) থাকে না।
হিসাবহীন সঞ্চয়: ব্যক্তিগতভাবে জমানো এই টাকাগুলো রিটার্নে আলাদাভাবে দেখানোর কোনো নির্দিষ্ট কলাম থাকে না।
জমি বা সম্পদ ক্রয়: যখন এই জমানো টাকা দিয়ে কয়েক বছর পর কোনো জমি বা ফ্ল্যাট কেনা হয়, তখন আয়ের উৎস প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই সংকট এড়াতে করদাতারা আগে থেকেই রিটার্নে নগদ টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেখান।
আরও পড়ুন:
আয়কর রিটার্নে ব্যাংক হিসাবের তথ্য: অন্যের টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রাখা কি বিপদজনক?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ব্যাংক ব্যালেন্স বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের সঠিক তথ্য প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (National Board of Revenue - NBR) নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক হিসাবের তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতা না থাকলে করদাতা বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।
ব্যাংক স্থিতি দেখানোর সঠিক নিয়ম (Rules for Showing Bank Balance)
আয়কর রিটার্নে ব্যাংক হিসাবের টাকা দেখানোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুসরণ করতে হয়। আপনার ব্যাংক বিবরণীতে (Bank Statement) প্রতি বছরের ৩০ জুন তারিখে যে পরিমাণ টাকা স্থিতি (Balance) থাকবে, রিটার্নে ঠিক সেই অংকটিই উল্লেখ করতে হবে।
একাধিক হিসাব: আপনার যদি একাধিক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে প্রতিটি হিসাবের ৩০ জুনের স্থিতি আলাদাভাবে সম্পদ বিবরণীতে দেখাতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি: রিটার্নের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সংগৃহীত 'ব্যাংক সার্টিফিকেট' বা 'স্টেটমেন্ট' সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন:
অন্যের টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রাখার ঝুঁকি (Risks of Using Account for Others)
অনেকেই আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের টাকা নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেন অথবা তাদের হয়ে বড় অংকের লেনদেন করেন। সাময়িকভাবে এটি উপকারের মনে হলেও আয়করের ক্ষেত্রে এটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে:
১. আয়ের উৎস প্রমাণ: আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে এনবিআর সেটিকে আপনার 'আয়' হিসেবে গণ্য করতে পারে। তখন ওই টাকার বৈধ উৎস প্রমাণ করার দায়ভার আপনার ওপর বর্তাবে।
২. অডিট ও জরিমানা: আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেন হলে আপনার ফাইলটি অডিটের (Tax Audit) আওতায় পড়বে এবং উৎসের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে চড়া হারে কর ও জরিমানা দিতে হবে।
৩. আইনি জটিলতা: অন্যের টাকা লেনদেনের ফলে আপনার ট্যাক্স ফাইলটি জটিল হয়ে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে আপনার ক্রেডিট স্কোর বা বিদেশ যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আরও পড়ুন:
একাধিক ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার ডেমো (আইটি-১০বি ফরম অনুযায়ী)
সাধারণত রিটার্ন ফরমের 'Financial Assets' বা 'আর্থিক সম্পদ' অংশে ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে হয়। যদি আপনার তিনটি ব্যাংক হিসাব থাকে, তবে সেটি নিচের ছকের মতো করে সাজাতে হবে:
ক্রমিক ব্যাংকের নাম ও শাখা হিসাব নম্বর (Account No) হিসাবের ধরন (Savings/Current/FDR) ৩০ জুনের স্থিতি (Balance as of 30th June) ০১ সোনালী ব্যাংক, রমনা শাখা ১২৩৪XXXX৫৬৭৮ সঞ্চয়ী (Savings) ২,৫০,০০০/- ০২ ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মিরপুর শাখা ৯৮৭৬XXXX৪৩২১ চলতি (Current) ৪৫,৫০০/- ০৩ ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখা ৫৫৫৫XXXX৪৪৪৪ এফডিআর (FDR) ৫,০০,০০০/- মোট ৭,৯৫,৫০০/-
আরও পড়ুন:
অনলাইন ই-রিটার্নে (e-Return) পূরণের ধাপসমূহ:
আপনি যদি অনলাইনে রিটার্ন জমা দেন, তবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
১. Assets & Liabilities ট্যাব: লগইন করার পর 'Assets & Liabilities' সেকশনে যান।
২. Financial Assets সিলেক্ট করুন: এখানে 'Cash at Bank' বা 'Bank Balance' অপশনটি খুঁজে বের করুন।
৩. Add More বাটন: প্রথম ব্যাংকের তথ্য (নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যালেন্স) দেওয়ার পর নিচে একটি '+' বা 'Add More' বাটন পাবেন।
৪. একাধিক এন্ট্রি: ওই বাটনে ক্লিক করলে নতুন ঘর আসবে। এভাবে আপনার যতগুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, প্রতিটির জন্য আলাদা ঘর তৈরি করে তথ্য দিন।
৫. স্থির চিত্র: মনে রাখবেন, প্রতিটি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে শুধুমাত্র ৩০শে জুন তারিখের ক্লোজিং ব্যালেন্সটিই টাইপ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
জমি বা ফ্ল্যাট কেনায় উপহার ও ঋণ: আয়ের উৎস দেখানোর আইনি নিয়মাবলী
স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের ক্ষেত্রে যখন করদাতার নিজস্ব বৈধ আয়ের চেয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি হয়, তখন আয়ের উৎস হিসেবে নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া 'উপহার' বা 'ঋণ' দেখানো যায়। তবে এনবিআর (NBR) এখন এই বিষয়ে অত্যন্ত কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
১. উপহার হিসেবে টাকা দেখানোর নিয়ম (Rules for Showing Gift)
যদি আপনি জমি বা ফ্ল্যাট কেনায় উপহারের টাকা ব্যবহার করেন, তবে নিচের শর্তগুলো মানা বাধ্যতামূলক:
রক্তের সম্পর্ক (Blood Relation): সাধারণত বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সহজে গ্রহণযোগ্য হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কর কর্মকর্তাদের জেরার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্যাংকিং চ্যানেল (Banking Channel): উপহারের টাকা অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলে (চেক, পে-অর্ডার বা অনলাইন ট্রান্সফার) লেনদেন হতে হবে। নগদ (Cash) উপহার আয়কর বিভাগ সাধারণত গ্রহণ করে না।
দাতার আয়কর ফাইল: যিনি আপনাকে উপহার দিচ্ছেন, তার নিজের আয়কর ফাইল বা রিটার্ন থাকতে হবে এবং ওই টাকা তার ফাইলে প্রদর্শিত থাকতে হবে।
দানপত্র বা হলফনামা (Gift Deed): বড় অংকের উপহারের ক্ষেত্রে একটি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে 'দানপত্র' বা ডিক্লারেশন তৈরি করে রাখা নিরাপদ।
আরও পড়ুন:
২. ঋণ হিসেবে টাকা দেখানোর নিয়ম (Rules for Showing Loan)
বিনিয়োগের উৎস হিসেবে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ দেখানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়:
ব্যাংক ঋণ (Bank Loan): ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিলে সেটি সবচেয়ে স্বচ্ছ উৎস। এক্ষেত্রে লোনের স্যাংশন লেটার এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট রিটার্নে জমা দিতে হবে।
ব্যক্তিগত ঋণ (Personal Loan): বন্ধু বা অন্য কারো কাছ থেকে ঋণ নিলে সেটি অবশ্যই ব্যাংকিং চ্যানেলে নিতে হবে। ৫ লক্ষ টাকার বেশি ঋণ নগদে নিলে তা সরাসরি আপনার 'আয়' হিসেবে গণ্য হবে এবং ট্যাক্স দিতে হবে।
পরিশোধ পদ্ধতি: ঋণের টাকা কীভাবে এবং কত দিনে পরিশোধ করবেন, তার একটি রূপরেখা থাকতে হবে।
৩. সাধারণ ভুল ও ঝুঁকি (Common Mistakes and Risks)
অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপহার: দাতার নিজেরই আয় কম অথচ তিনি কোটি টাকা উপহার দিয়েছেন—এমন তথ্য দিলে দাতা ও গ্রহীতা উভয়েই অডিটের (Tax Audit) মুখে পড়বেন।
দলিলাদি না থাকা: টাকা লেনদেনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা কোনো চুক্তিনামা না থাকলে এনবিআর সেই অর্থকে অবৈধ আয় হিসেবে গণ্য করবে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল করা কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, বরং এটি আপনার আর্থিক স্বচ্ছতার একটি সনদ। নগদ টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স কিংবা বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাময়িক সুবিধা পেতে ভুল বা অস্বাভাবিক তথ্য দিলে দীর্ঘমেয়াদে তা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সঠিক তথ্য প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুন এবং নিজের আর্থিক জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখুন।




