রাজার হাটে জমেনি ঈদ পরবর্তী চামড়ার দ্বিতীয় হাট, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

যশোরের রাজার হাট
যশোরের রাজার হাট | ছবি: এখন টিভি
2

যশোরের রাজার হাটে জমেনি কোরবানি পরবর্তী চামড়ার দ্বিতীয় হাট। যদিও এটি দেশের দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট। এ হাটে চামড়ার সরবরাহও আশানুরূপ না এবং দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

কোরবানির ঈদের পর দেশের দক্ষিণবঙ্গের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাটে আজ ২৫ হাজার চামড়া উঠেছে। এর মধ্যে গরুর চামড়া ২০ হাজার ও ছাগলের চামড়া ৫ হাজার। যার বাজার দর প্রায় দেড় কোটি টাকা।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ হাটে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের থেকে কম দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। সরকার ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, তবে এ হাটে প্রতি পিস চামড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়। 

আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকদের বকেয়া না দেওয়া, ব্যাংক বন্ধ থাকা ও ব্যবসায়ীরা হাটে না আসার কারণে চামড়ার দাম কম ও বিক্রিও কম হচ্ছে।

রাজারহাটে যশোরসহ খুলনা বিভাগের দশ জেলার পাশাপাশি ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঝালকাঠি, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী ও নাটোরের বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া কেনাবেচা করেন।

রাজারহাটে প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার চামড়ার হাট বসে। এ হাটে ছোট-বড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ২ শতাধিক আড়ত রয়েছে। 

এসএইচ