এখন জনপদে
অর্থনীতি
0

শীতের শেষে পর্যটক বেড়েছে সুন্দরবনে

সুন্দরবন খুলে দিয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। শীত মৌসুমের শুরুতে শত শত পর্যটক ভিড় করছেন বনের সৌন্দর্য উপভোগে। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন বৃহৎ এ ম্যানগ্রোভ বনে। যাতে চাঙ্গা হয়েছে অর্থনীতিও।

পরিবার-পরিজন বা বন্ধুদের সঙ্গে খুলনায় লঞ্চঘাট এলাকায় ভোর থেকেই শুরু হয় পর্যটকের ভিড়। তৈরি হয় উৎসবের আমেজ।

সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময় শীত মৌসুম। তাই প্রকৃতির সঙ্গে মিতালি আর বনের জীববৈচিত্র উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারও পর্যটক।

নগরীর লঞ্চঘাট ও রুপসা ঘাট থেকে প্রতিদিন সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে ছুটে চলে বিলাসবহুল একাধিক লঞ্চ। যেখানে পৌঁছে পর্যটকরা বিমোহিত হন কটকা, কচিখালি, আন্ধারমানিক ও ডিমের চরের সৌন্দর্যে। তবে অভিযোগ আছে অনুন্নত পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে।

পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক দশকে আমূল পরিবর্তন এসেছে সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়। যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক জাহাজ। যাতে চাঙ্গা হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি।

এদিকে, পর্যটন ব্যবসায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন জাহাজ মালিকরা। শুধু বিলাসবহুল জাহাজ পর্যটনের জন্য যুক্ত হলে চলবে না। এ খাতে টুরিস্ট গাইডের মানোন্নয়ন ও নতুন নতুন পর্যটনের স্থান নির্বাচন করতে পারলে বাড়বে বিনিয়োগ।

রূপসি বাংলা ট্যুরিজম মালিক কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আর কারো কাছে কিন্তু এই সুন্দরবন নেই। এটা আমাদের কাছে আছে। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা করে এই পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’

গোলপাতা পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পর্যটনরা যেন স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থাগুলো করছি। আমরা জাহাজকেও আরো আধুনিক ব্যবস্থা করছি।’

ব্লু সেইলের সিইও ক্যাপ্টেন মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘শুধু জাহাজের মান উন্নত হয়েছে বলে থেমে গেলে হবে না। যেসব জাহাজ মান সম্মত করা যায়নি সেগুলো কীভাবে আনা যায়, নতুন স্পট তৈরি করা , পর্যটকদের নামা উঠা ব্যবস্থা আরো কীভাবে উন্নত করা যায় এখনো নিয়েও আমাদের কাজ করা বাকি রয়ে গেছে।’

বাংলাদেশ ও ভারতের ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন। এরমধ্যে বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার।

এএম