গেল কয়েকবছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে চমক দেখাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রণোদনাসহ বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ প্রদানের পাশপাশি দেশের বাণিজ্যিক খাতে অনাগরিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচন- এই দুটি পন্থাকে উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০২ মিলিয়ন ডলার।
ছয়মাস থেকে একবছর টানা বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রবাসীদের জন্য সরকারি স্বীকৃতির পাশাপাশি প্রচারমুখী উদ্যোগ ও প্রবাসী পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যবীমা ও বিশেষ সেবা চালু করা গেলে আরো বেশি রেমিট্যান্স বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘এখান থেকে আমি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠাচ্ছি। আমার আশে পাশে যারা আছে সবাইকে বলি বৈধ পথে যেন রেমিট্যান্স পাঠায়।
ফাস্ট সাপোর্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি ম্যানেজার মোহাম্মাদ ফোরকান বলেন, ‘দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে যদি দুবাই ও আবুধাবির পাশাপাশি রির্মোট এরিয়াতে যদি আরো প্রচারণা চালানো যায় তাহলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশা করছি।’
গেল ডিসেম্বরে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের মধ্য থেকে ২০২৪ সালের জন্য সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৪৫ জনকে সিআইপি নির্বাচিত করা হয়। এই তালিকায় ১৭ জন ছিলেন আমিরাত প্রবাসী।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর ২০২৫ সালের জন্য সিআইপি নির্বাচিত হওয়া ৭৩ জনের মধ্যে ৪০ জনই আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি। অন্যদিকে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে এই দুই বছরের জন্য নির্বাচিত ১৯ জন সিআইপির মধ্যে ৪ জন রয়েছেন আমিরাত প্রবাসী।
প্রবাসীরা বলছেন, পরিবারের জন্য দৃশ্যমান উদ্যোগ ও সেবা সহজ করাসহ সরকার প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের নিরাপত্তা দিলে আরো বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত হবেন তারা।