ভ্রমণ
অর্থনীতি
0

আবারো চাঙ্গা হচ্ছে রাঙামাটির পর্যটন খাত

রাঙামাটির পর্যটন খাত আবারো চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে। এতে গেল চার মাসে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা।

সারা বছরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় রাঙামাটি। বছরে কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আসেন। কিন্তু গেল জুলাই বিপ্লব থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটক খরায় পড়ে রাঙামাটি।

গত ১ নভেম্বর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে রাঙামাটির পর্যটনে। খুশি পর্যটকরাও। এরমধ্যেই জেলার তিন পর্যটনকেন্দ্রে রাঙামাটি শহর, সাজেক ও কাপ্তাই ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। এসব পর্যটনকেন্দ্রের আবাসিক হোটেল রিসোর্টে এরই মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে। এতে আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করেছে পর্যটন খাত।

মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু এলাকায় কথা হলে বরিশাল থেকে আসা মিজানুর রহমান বলেন, 'রাঙামাটিতে পাহাড়, লেক, ঝুলন্ত ব্রিজ আছে। কিন্তু কখনো দেখি নাই। ইউটিউবে ভিডিও দেখতাম। আজকে সরাসরি দেখলাম। অনেক ভালো লাগছে।'

চট্টগ্রামের রাউজান থেকে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসা আবদুল্লাহ জাহেদ বলেন, 'রাঙামাটি আসলেই আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। পারিবারিক চাপ, কষ্ট সব দূর হয়ে যায় এখানে আসলে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য রাঙামাটি। রূপের রাণী বলা যায়।'

ঢাকা থেকে আসা তরুণ পর্যটক আল আমিন বলেন, 'রাঙামাটির সৌন্দর্য যদি আমি বলি, প্রথমেই হচ্ছে কাপ্তাই লেকের কথা বলবো। যেটা একদম অসাধারণ একটা জায়গা। সুইমিংয়ের জন্য হোক। বা দেখার জন্য হোক। যেটা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহত্তম কৃত্রিম লেকগুলোর একটা।'

সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটকের উপস্থিতি থাকে রাঙামাটির তিন পর্যটনকেন্দ্রে। আবার বিশেষ দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০ হাজারে।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, 'মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়া থাকে। এই সময়টাতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। আবাসিক হোটেল রিসোর্টগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে। সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা শেষ হলে পর্যটকদের উপস্থিতি কয়েকগুণ বাড়বে আশা করছি।'

সাজেক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণদেব বর্মণ বলেন, 'আমাদের রিসোর্টগুলো শুক্র ও শনিবার প্রায় ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারে। আশা করি এই মৌসুমে ভালো ব্যবসা হবে।'

আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট, খাবারের দোকান (রেস্টুরেন্ট), পাহাড়িদের তৈরি টেক্সটাইল কাপড়, সড়ক ও নৌযান এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘিরেই মূলত রাঙামাটির পর্যটন বাণিজ্যের পাঁচ খাত। এই পাঁচ খাতে দৈনিক বাণিজ্য হয়ে থাকে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

ইএ