আজ (শনিবার, ১১ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কাজী আতিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম, বনবিভাগ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল গ্রামে অবস্থিত এস.বি.ডবলিউ, এ.এম.বি এবং মাঝের পাড়ায় এন.আর.সি ইটভাটার মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসময় ২০ হাজার ঘনফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করে বন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে দেয়া হয়েছে এসব ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লীর আগুন।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি) বিকালে অভিযানে উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের গাড়িছড়া গ্রামে অবস্থিত জেবিএম ব্রিকস, আদর্শগ্রামে এটিএম ব্রিকস এবং তারাবুনিয়া গ্রামে এমএন্ডসি ব্রিকস ইটভাটার মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও ভাটা বন্ধ ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব ইটভাটায় পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ আর বনের কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি হয়ে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। অভিযোগ আছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চক্রটি অবৈধ ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করছে। তবে এসব বিষয় ও জরিমানা আদায়ের ঘটনায় কথা বলতে অপারগতা জানিয়েছেন দণ্ড পাওয়া ইটভাটা মালিকরা।
স্থানীয় খাসখালী রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফখর উদ্দিন বলেন, 'অবৈধভাবে জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ পোড়ানো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেক অব্দ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাঙামাটি জেলার সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বলেন, 'পাহাড় কাটা ও অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আট মামলা দায়ের ও ১১টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। অভিযানও চলবে।'
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কাজী আতিকুর রহমান বলেন, 'মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ১৫টি ইটভাটার মধ্যে ১১টিতে অভিযান চালিয়ে এরমধ্যেই আট লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে এগুলোর কার্যক্রম।'
