এই মাসের রেমিট্যান্স গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৬৩ কোটি ডলার বেশি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ব্যাংকখাতে যে সংস্কারগুলো চলছে তাতে মানুষের আস্থা ফিরবে, রেমিট্যান্স বাড়বে। এছাড়াও রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক থাকলে আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধে রিজার্ভের ওপর নির্ভর করতে হবে না বলেও জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গতি ফিরেছে রেমিট্যান্সে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগস্টে যে রেমিট্যান্স এসেছে তা গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি।
এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসলেও জুলাই আন্দোলনে বেশ কিছুটা হোচট খায় রেমিট্যান্স প্রবাহ। থেমে থেমে চলা ব্যাংকখাত আর হুন্ডির দৌরাত্মও বাড়ে দেশের অস্থিরতায়। যা রেমিট্যান্সেও প্রভাব ফেলে। সেসময় অর্থাৎ জুলাইতে ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।
অন্যদিকে আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স আয় ছিল দুই বিলিয়ন বা ২০৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। চলতি বছর একই সময়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর আগে চলতি মাসের ১ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।