আজ (বুধবার, ৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত 'ওশান প্রসপারিটি: ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনোমি ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ব্লু ফাইন্যান্স ব্রেকআউট সেশনে চেয়ারপার্সন হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, '২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।'
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের নিমিত্ত 'টেরেটোরিয়াল ওয়াটার এন্ড ম্যারিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪' প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সম্পদের ওপর দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।'
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থবছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য একশ' কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের ব্লু ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০টি মন্ত্রণলায়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে।'
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, '২০৩০ সাল নাগাদ মহাসাগরীয় অর্থনীতি দ্বিগুণ হয়ে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, ২০১০ সালের তুলনায় ৪০ মিলিয়ন লোককে কর্মসংস্থান করবে। উদ্ভাবনী অর্থায়ন সমাধানগুলি সমুদ্র ও উপকূলীয় সংরক্ষণ এবং বিশুদ্ধ পানির সম্পদ বৃদ্ধির চাবিকাঠি, এবং ব্লু ফাইন্যান্সের সাহায্য করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।'
এ সেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি