এতে দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়োগকর্তাদের, তেমনি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে কর্মীদের।
এর আগে মার্চে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল জানান, মে মাস পর্যন্ত নতুন বিদেশি কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেবে সরকার।
এছাড়াও রিক্রুটিং এজেন্সি ছাড়াই সরাসরি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দুই মাস আগেই মালয়েশিয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও শেষ সময়ে এসে কর্মী প্রেরণে তোড়জোড় শুরু করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। ফলে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর আকাশপথের ব্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে, যা নেয়া হচ্ছে কর্মীদের পকেট থেকেই।
এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দৈনিক বিদেশি কর্মীদের আগমন হয় ৫শ’ থেকে ১ হাজার মধ্যে। ২২ মে থেকে আগমনের সংখ্যা আড়াই হাজারে বাড়তে শুরু করে, যা পরে ২৭ মে’তে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজারে। এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত ও যানজট নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হয়েছে ও অভিবাসন কর্মকর্তার সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশি কর্মীদের পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছেও বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।