প্রবাস
অর্থনীতি
ন্যায্য অধিকারের দাবি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের
প্রতি বছর পহেলা মে শ্রমজীবীদের অধিকার নিয়ে সরব হতে দেখা যায় শ্রমিক সংগঠনগুলোকে। কিন্তু প্রবাসে কাজ করা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কেউ ভাবে না। জীবন-জীবিকার তাগিদে এই ছুটির দিনেও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কাজ করতে হয়। তাদের কাছে শ্রমিক দিবসের বিশেষ কোন তাৎপর্য নেই। কখন দিবস আসে আর কখন যায়, তাও জানেন না বেশিরভাগ প্রবাসী শ্রমিক।

এক প্রবাসী শ্রমিক বলেন, ‘শ্রমিকদের কোন দিবস থাকে না। কাজ করলে পারিশ্রমিক পাই। শ্রমিক দিবসে কাজ না করলে কী করবো?’

এক হোটেলের শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা ঈদের দিনেও কাজ করি। আর শ্রমিক দিবস তো দূরের কথা। যারা সরকারি চাকরি করে তাদের জন্য মে দিবস।’

বিশেষ করে, মধ্যপ্র্যাচ্যের দেশগুলোতে মে দিবস নিয়ে কোন প্রচার না থাকায় দিনটিতে প্রবাসী শ্রমিকরা কোন ছুটি পান না। এমনকি অধিকার আদায়ে কাজ করা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না। যদিও দিবসটি উপলক্ষে সৌদি আরবের রিয়াদে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রবাসী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস স্বার্থকতা পাবে বলে মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা।

এওয়াইএইচ