বিশাল সমুদ্রসীমাজুড়ে রয়েছে আবিস্কৃত-অনাবিস্কৃত প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের বিশাল ভান্ডার। যার অধিকাংশ এখনও অনাবিস্কৃত। এখনও মাত্র ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের সমুদ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ করেছে বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় দেশ-বিদেশের সমুদ্র বিজ্ঞানী ও গবেষকদের একত্রিত করে তাদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণা সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজে লাগাতে চায়। প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে কক্সবাজারে সমুদ্রবিষয়ক দুই দিনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত সমুদ্র বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
সমুদ্রবিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশের টেকসই সুনীল অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত করার আশার কথা জানালেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
বলেন, 'আমরা প্রাণিজ সমুদ্রবিজ্ঞান থেকে আমরা অনেক ধরনের খনিজ আবিষ্কার করেছি। যেগুলোর বাজারমূল্য অনেক বেশি। দেশিয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এগুলো স্বীকৃত এবং অনেক ব্যয়বহুল। আরও নতুন নতুন প্রবাল সমুদ্রের নিচে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।'
বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসম্পদের অনুসন্ধান, গবেষণা, সুষ্ঠু আহরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে যেতে পারে। এজন্য শিগগিরই জাহাজ যুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও জানালেন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটির এই মহাপরিচালক।
অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ আরও বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করছি। ২০২৮ সাল পর্যন্ত আমাদের যে পরিকল্পনা আছে তা সফলভাবে করতে পারবো বলে মনে করি।'
বঙ্গোপসাগর ঘিরে সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার কথা জানালেন কনফারেন্সের প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক। মাছ ধরা থেকে শুরু জাহাজ শিল্প সবখানেই সম্ভাবনার হাতছানি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার এডমিরাল খোরশেদ আলম বলেন, 'দ্বীপের ভেতর শুঁটকি থেকে শুরু করে, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, বড় বড় জাহাজ, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় কনটেইনার বহন করা পর্যন্ত আমাদের সম্ভাবনার কোন শেষ নাই।'
সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ একদিন পৃথিবীর বুকে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।





