প্রবাস
অর্থনীতি
0

কমেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ

রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান।

করোনা মহামারি পরবর্তী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা। ২০২৩ সালে ফের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা প্রত্যাশা করছেন ২০২৪ সালে আগের বছরগুলোর তুলনায় সবদিক দিয়ে তাদের জন্য ভালো হবে।

নিউ ইয়র্কের ডিজিটাল ট্রাভেলসের সিইও নজরুল ইসলাম বলেন, 'অতিমারীর আগে আমাদের ব্যবসার খুব ভালো অবস্থা ছিল। এই ধারাবাহিকতা হয়তো ২০২৪ সালে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। আর কোন বাধা থাকবে না। আশা করছি খুব ভালো ব্যবসা করতে পারবো।'

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের অন্যতম কেন্দ্র নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস। ২০২৩ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন প্রতিষ্ঠান।

জ্যাকসন হাইটস শেফ মহলের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, 'গতবছর আমরা শেফ মহল রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করেছি। এখানে একটা পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছি। ২০২৪ সালে আমরা আরও ভালো ব্যবসা করতে পারবো।'

তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা গতি দেখা গেলেও চাকরির বাজার দেখা যাচ্ছে মন্দা। রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে এই অবস্থা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত ১১৫৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়ে প্রথম অবস্থানে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা। সৌদি আরব রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তারা পাঠিয়েছেন ১০৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের অবনমন হয়েছে। গত অর্থবছরে কিছু সময় প্রথম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেমে এসেছে চতুর্থে। এখানকার অভিবাসীরা বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন ৬৯৫ মিলিয়ন ডলার।

ব্যাংক এশিয়া এক্সপ্রেস ইউএসএ ইনক'র সিইও আতাউর রহমান বলেন, 'সৌদি আরবের রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার ফলে আমরা প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম। কাজেই সবার মধ্যে একটা ধারণা হয়েছিল যে আমরা বোধহয় রেমিট্যান্সে নাম্বার ওয়ান। বিষয়টা ঠিক ওই রকম না। ২১-২২ ও ২২-২৩ অর্থবছরে আমেরিকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। কিন্তু এ বছর রেমিট্যান্স অনেক কমে গেছে।'

এছাড়া বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন থাকায় অনেক প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠাননি এতোদিন। অভিবাসীদের প্রত্যাশা বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রথম পর্যায়ে নিয়ে যাবেন তারা।