ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে মোবাইল এবং যন্ত্রাংশের জন্য বিশেষায়িত বিপণীবিতান 'মহিপাল প্লাজা'। চারটি ফ্লোরে ছোট-বড় মিলিয়ে দেড় শতাধিক দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ শতাধিক মানুষের।
এছাড়া শহরের গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, রাবি শপিং সেন্টার ও স্টেশন রোড এলাকাতেও আছে মোবাইলের আরও কয়েকটি বিশেষায়িত বিপণীবিতান। যেখানে নতুন, পুরাতন মোবাইলের পাশাপাশি এর যন্ত্রাংশসহ নানা সরঞ্জাম বিক্রি হয়।
টেকনিশিয়ান ও বিক্রয়কর্মীরা বলেন, মোবাইল ব্যবসা এবং সার্ভিসিংয়ের ফেনীতে খুব সম্ভাবনা আছে। দৈনিক তিন হাজার টাকার মত কাজ হয় এখানে। দোকান বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতারা ভালো জিনিসটা যাচাই করতে পারে।
ব্যবসায়ীদের মতে, জেলায় শুধু মোবাইলের দোকানেই দৈনিক কোটি টাকার লেনদেন হয়।
তারা বলেন, যারা শিক্ষার্থী এবং বেকার রয়েছে তাদের অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
মহিপাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, 'আনঅফিশিয়াল ফোনগুলো যদি প্রশাসন বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের উপকার হবে।'
মোবাইলের বাজার সম্প্রসারিত হওয়ায় যাচাই করে পণ্য নিতে পারছেন বলে জানান ক্রেতারা। তবে বিড়ম্বনা এড়াতে চোরাই ও আনঅফিশিয়াল মোবাইল না কেনার পরামর্শ পুলিশের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু মারমা বলেন, 'স্বল্প বাজেটে আনঅফিশিয়াল মোবাইল কিনতে হলে ইউনিক কোড নম্বারটি যাচাই করে থানায় অবহিত করে কিনা উচিত।'
বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও জেলার সামগ্রিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ব্যবসায়ীদের।