আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে উত্তাল ফেনীর বিলোনিয়া বন্দর এলাকা। আজ (বুধবার, ৪ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিসহ ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মুহাইমিন তাজিম বলেন, ‘আমাদের পতাকার ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করে অবমাননা করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ওমর ফারুক শুভ বলেন, ‘এ হামলার বিচার করতে হবে এবং ভারত সরকারসহ নরেন্দ্র মোদীকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।’
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে যাত্রী পারাপার।
আগে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭শ যাত্রী স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার হলেও গত দুদিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে অর্ধেরও কম। পারাপার হওয়া যাত্রীদের বেশিরভাগই ভারতীয়। এদিকে, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন রয়েছে বিজিবি সদস্য। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশি পরিচয়ের কারণে অনেককেই হোটেলে থাকতে দেয়া হয়নি, এর সঙ্গে তাদের কাছে কোনো পণ্য বিক্রি করেনি। এছাড়া রাস্তা ঘাটেও তাদেরকে নানাভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছল্য করা হয়েছে।’
যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়েও কমেছে যাত্রী পারাপার। ভিসা দিতে ভারতের বিধিনিষেধ আরোপের প্রভাব পড়েছে বন্দরে। যাত্রী সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। একই অবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও।
যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘জানা গেছে ভিসা না দেয়ার কারণে যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।’
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। সীমান্তের ওপারের এলাকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় দুদেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। সম্পূর্ণরূপে চালু আছে ইমিগ্রেশন সেবাও।
তবে, ভিসা জটিলতায় কমেছে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা। মেডিকেল, স্টুডেন্ট ও ট্রানজিট ভিসা ছাড়া সব ধরনের ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে ভারতীয় দূতাবাস। এতে সমস্যায় পড়েছেন দুদেশের নাগরিকরাই।