মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ভর করে নভেম্বরেই গত বছরের রেকর্ড ভেঙে গেছে। সৌদি আরব বরারবই জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য। আর মালয়েশিয়াতে এ বছর কৃষি ও নির্মাণ শিল্পে কাজ পেয়েছে ৩ লাখের বেশি মানুষ।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, এ বছর নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের থেকে প্রায় ৬৯ হাজার বেশি। কিন্তু তার প্রতিফলন প্রবাসী আয়ে নেই। শুধুমাত্র মার্চ ও জুনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
সম্প্রতি ৯ শতাংশ সুদে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের সুযোগ চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব উদ্যোগে অক্টোবর ও নভেম্বরে প্রবাসী আয় কিছুটা গতি পায়।
অর্থনীতিবিদ মামুন অর রশিদ বলেন, এই হুন্ডি আমাদেরকে শেষ করে দিচ্ছে। প্রবাসী আয় বাড়াতে ডলারের মূল্য অবশ্যই বাজারভিত্তিক হতে হবে। এতে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়বে।
প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার তৎপর রয়েছে। আর কারসাজি রোধে খোলাবাজারে নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসী আয় সংগ্রহের জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করি। আশা করি, সামনে প্রবাসী আয়ের গতি আরও বাড়বে।’
এদিকে ডলার সংকটে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমেছে। গত বছরের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ ছিলো ১৩.৯১ শতাংশ, এবার তা কমে ১০.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এটি আরও কমবে, যা বিনিয়োগকে সংকুচিত করবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।




