গল্পের বই পেয়ে এক মুহূর্ত দেরি না করে পাতা উল্টে পড়া শুরু করে শিশু অদ্রি। বড় বোন আদিবা আর বাবা মায়ের সাথে তাই সকাল সকাল হাজির বইমেলার শিশু চত্বরে। অদ্রি জানায়, 'আমি সকালে উঠে বাবাকে বলেছি বইমেলায় যাবো। শিশুমেলা আর সিসিমপুর দেখবো।'
প্রতি সপ্তাহের ছুটির দুটো দিন শিশু চত্বরের মূল আকর্ষণ সিসিমপুরকে ঘিরে বইমেলায় কচিকাঁচাদের মেলা বসেছে। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা চরিত্র চোখের সামনে দেখে বাচ্চাদের যেন আনন্দের শেষ থাকে না।
শিশুরা জানায়, সিসিমপুর তাদের অনেক পছন্দ। ইকরি আর হালুমকে তাদের বেশি ভালো লাগে। কারণ হালুম মাছ খায়। সেইসাথে ছড়া পড়তেও অনেক ভালো লাগে তাদের।
এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শিশুদের নানা ধরনের বই। তবে রঙিন মলাট আছে এমন বইয়ের বিক্রি বেশি বলে জানান বই বিক্রেতারা। বলেন, বাচ্চারা অনেক সময় বই পড়তে পারে না। তবে ছবির প্রতি তাদের আকর্ষণ বেশি থাকে। তাই রঙিন মলাটের বই তাদের বেশি পছন্দ। বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।
সন্তানদের বইমুখী করা ও ভাষার সাথে পরিচয় করাতে ছুটির দিনে শিশুদের নিয়ে বইমেলায় এসেছেন অভিভাবকরা। বলেন, বাচ্চাদের অনেক রকম বই পাওয়া যায়। বইমেলায় নিয়ে আসলে বইয়ের প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ বাড়বে। বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই এর বাইরেও অনেককিছু জানতে হবে।'
বইমেলার শিশু প্রহরের এই আয়োজন শিশুদের একদিকে যেমন আনন্দ দিচ্ছে; পাশাপাশি মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।