খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা হাজী মো. নিয়ামত খাঁ প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই মৌজার ২৯৫১ নাম্বার বিএস খতিয়ানের ৫ শতাংশ জমিতে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও স-মিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শাহবাজপুর এলাকার মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেনসহ আরও কয়েকজন মিলে বৃদ্ধ নিয়ামতের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহা করতে না পেরে গত ১৮ নভেম্বর হাজী নিয়ামত খাঁ আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
তবে মামলা করায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা। মামলা দায়েরের পরদিন (১৯ নভেম্বর) দেলোয়ার তার সহযোগীদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ নিয়ামত খাঁ’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে তাকে মারপিট করে নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকা মালামাল লুটে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে তার স-মিল দখলে নেয়। এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নিয়ামত খাঁ।
আরও পড়ুন:
তবে মামলার পর থেকে হাজী নিয়ামত খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভূমি-দস্যু চক্রটি। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মারারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হাজী নিয়ামত খাঁ।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বৃদ্ধ হাজী নিয়ামত খাঁর স-মিলটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। স-মিলটির পাশেই টিন দিয়ে দোকান ঘরের মতো তৈরি করে সেখানে রেফ্রিজারেটর মেরামতখানা খুলেছেন দেলোয়ার। ভয়ে নিজের জমিতে যেতে পারছেন না নিয়ামত খাঁ।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়ামত খাঁ'র স-মিলের পাশে আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমি ওই জায়গা নিয়েছি।
তবে হাজী নিয়ামত খাঁ বলেন, যে জায়গাটি দেলোয়ার হোসেন জোর করে দখল করেছেন, এখানে তার কোন ব্যক্তি মালিকানা জায়গা নেই। এটা আমার পৈত্রিক মালিকানা জায়গা। এখানে আমি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। দেলোয়ার যদি এখানে জায়গা পেতো তাহলে এত দিন কোথায় ছিলো?
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, এই থানায় আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি নিয়ে হাজী নিয়ামত খাঁ আমার কাছে এসেছিলেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন, তিনি আসলে বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।





