কোম্পানি কমান্ডার জানান, অভিযুক্ত কাদের ভূঁইয়া পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ও একটি এনজিওর মালিক। তার এনজিওতে চাকরির সুবাদে কাদের ভিকটিমকে প্রায়ই কু-প্রস্তাব দিতেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করতেন। এ কারণে ভিকটিম চাকরি ছেড়ে দেন। পরে কাদের ফোনে অফিসের হিসাবপত্র বুঝিয়ে দিতে বললে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভিকটিম স্বামীসহ অফিসে যান। সেখানে কাদের কৌশলে গ্রাহকের হিসাব বই আনার কথা বলে ভিকটিমের স্বামীকে বাইরে পাঠান। এরপর অফিসে একা পেয়ে জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে যমুনা সেতুর পূর্বপাড় এলাকা থেকে কাদের ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরেক ঘটনায়, নাবালিকা এক মেয়েকে অভিযুক্ত মো. মেহেদী হাসান (২২) ও তার সহযোগীরা গত ২০ জুলাই সকালে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখে। সেখানে মেহেদী ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির বাবা আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখিপুর থানাধীন ভুয়াপুর ইব্রাহীম খান কলেজ গেট এলাকা থেকে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে, অভিযুক্ত মো. আ. জলিল স্মার্টফোনে দূরসম্পর্কের ভাগ্নির গোসলের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিওটি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। ভিকটিম রাজি না হলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে জলিল ভিকটিমের শয়নকক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং কাউকে কিছু জানালে ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখান। এক মাস পর গর্ভধারণের বিষয়টি জানতে পেরে জলিল ভিকটিমকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান, এতে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাতে জলিলকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।





