রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাউজান উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য ও মূল হোতা সাইফুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আশরাফুল জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ হত্যার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়ার কথাও জানায় সে। চক্রটির মূল উদ্দেশ্য ছিল সিএনজি ছিনতাই। তারা রিজার্ভ যাত্রী সেজে নির্জন স্থানে চালককে নিয়ে যেত, এরপর মুখ ও হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করত।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ‘গামছা গ্যাং’ এর অন্যতম সদস্য সুমন নামের এক ব্যক্তি নেশার ঘোরে ভুক্তভোগীদের চোখ উপড়ে ফেলত। তদন্তে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬-২৭ জন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। নিহত সাজ্জাদ তাদের একজন।
আরও পড়ুন:
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার আশরাফুল হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চক্রটির গঠন, উদ্দেশ্য ও অন্য সদস্যদের পরিচয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গামছা গ্যাং আনোয়ারা ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি ছিনতাই, চুরি ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এটি একটি সংগঠিত অপরাধচক্র, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে, গত সপ্তাহে পুলিশ বরুমছড়া ইউনিয়নের দুই আসামি রমজান আলী ও হারুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়। তাদের দেওয়া তথ্যেই সাইফুল ও আশরাফুলের নাম উঠে আসে। এরআগে, চন্দনাইশ থানা পুলিশ পৃথক এক মামলায় মূল হোতা সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, আশরাফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের অবস্থান শনাক্তে অভিযান চলছে।




