গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাটোরের এনএস সরকারি কলেজে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর ইসলাম সজীব (২৩) ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মো. জাহিদ সরকারকে (৫৫)।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল আনুমানিক ১২টায় সিটিটিসি বিভাগের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সজীবকে গ্রেপ্তার করে। সজীব নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
বিগত সরকারের পতনের পর তিনি নাটোর থেকে ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন এবং ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিতে করেন বলেও জানায় সিটিটিসি।
সিটিটিসি জানায়, সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার সজীব রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিল। সে নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করতো। বিশেষ করে মিছিলে অংশগ্রহণ করার পূর্বে ককটেল বানানোর বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে নিজে ককটেল বানাতো এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান ছিল।
আরও পড়ুন:
সিটিটিসি আরও জানায়, সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর গুলশান থানাধীন হাতিরঝিল সংলগ্ন পুলিশ প্লাজার সামনে একটি ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এরপর তিনি ওই বিক্ষোভ মিছিল ফেসবুক লাইভে শেয়ারও করেন। তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যাসহ পাঁচটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া সিটিটিসি জানায়, আজ দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিটিআই টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর-১১ মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মো. জাহিদ সরকারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জাহিদ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানায় সিটিটিসি।





