মসজিদে ছাত্রশিবির, বাইরে বিএনপি; সংঘর্ষে আহত ২০

সংঘর্ষের মসজিদের অবস্থা
সংঘর্ষের মসজিদের অবস্থা | ছবি: এখন টিভি
3

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ (রোববার, ১৯ অক্টোবর) বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত কোরআন শিক্ষা ক্লাস চলাকালে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ছাত্রশিবির। পরে সংগঠনটি বিকেলে একই মসজিদে প্রতিবাদ জানিয়ে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আছর নামাজের পর প্রতিযোগিতা শুরু হলে মসজিদের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিতে থাকেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সংঘর্ষের সময় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন, আর বিএনপি নেতাকর্মীরা বাইরে বিক্ষোভ ও স্লোগান চালিয়ে যান। শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিএনপি নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৭০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবরুদ্ধদের নিরাপদে মসজিদ থেকে বের করে আনে।

আরও পড়ুন:

এ বিষয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে। মসজিদে বারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘নামাজ শেষে মসজিদ থেকেই হামলা হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মসজিদের ভেতর থেকে বারবার হামলা চালানো হয়েছে।’

স্থানীয় একাধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে জানান, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদে স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তারা উল্টো হামলা চালায়। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ নেতাকর্মী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত থাকলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম এখন টিভিকে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

এসএইচ