নাটোরে স্ত্রী মেহনাজ আক্তারের দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুপুরে পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হক নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান তিনি। এসময় শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসময় খবর পেয়ে নাটোরের গণমাধ্যম কর্মীরা কোর্ট পুলিশের হাজত খানার সামনে জড়ো হয়। কিন্তু কোর্ট পুলিশ তাকে হাতকড়া না পরিয়েই জেল হাজতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ফুটেজ নিতে থাকলে ফজলুল হক এখন টিভির ক্যামেরারসহ বেশে কয়েকটি গণমাধ্যমের ক্যামেরার ওপর হামলা করে। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ পুনরায় পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হককে কোর্ট হাজতে নেয়।
পরে পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা ফজলুল হককে হাতকড়া, মুখে মাস্ক পরিধান থেকে বিরত রাখা এবং কোমরে দড়ি বেধে নিয়ে যাওয়ার শর্ত দিলে সেনাবাহিনী ও পুলিশি পাহারায় তাকে কোর্ট হাজত থেকে জেল হাজতে নেওয়া হয়।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর মেহনাজ আক্তার তার স্বামী পুলিশ সুপার ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন, পরকীয়াসহ নানা অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ সুপার ফজলুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে ময়মনসিংহ রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। বাদি পক্ষের আইনজীবী মুশফিক হাসান জানান, পুলিশ সুপারের নির্যাতনে ২ কন্যা সন্তান নিয়ে মেহনাজ অসহায় জীবন যাপন করছেন।
পুলিশ সুপার ফজলুল হকের বাড়ি নাটোর শহরের মোহনপুর এলাকায় এবং তার স্ত্রী মেহনাজের বাড়ি জেলার লালপুরে। তবে তিনি রাজশাহীতে বোনের বাসায় থাকেন।