এর আগে রোববার (৯ মার্চ) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে মিষ্টির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই এই মামলায় মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিষ্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী। তবে তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় বসবাস করছেন।
এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ‘ছাত্র সমন্বয়ক’ পরিচয় দেয়া মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
এদিকে রোববার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে নিয়ে দখল করা মানসিক ভারসাম্যহীনদের ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, ‘মামলার পর শহরে অভিযান চালিয়ে মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’
উল্লেখ্য টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।