আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দৈনিক কালবেলা ও এনটিভি অনলাইনের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে. এম. বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। এ সময় নাগরিক কমিটির ব্যানারে কয়েকজন ফুল দিতে গেলে জি. এম. সোহেল নামে একজনকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী অবহিত করে তাকে মারধর শুরু করেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
পুলিশ সোহেলকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার সময়ও তাকে মারধর করতে থাকে তারা। এ সময় সাংবাদিক মাহমুদ ভিডিও করতে গেলে তাকে মারধর করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, 'বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন ও তার ভাতিজা কে. এম. মারজান ও কে. এম. নাসিরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আমার ওপর হামলা করে। আমি কেন ভিডিও করছি- এ কথা বলেই মারপিট শুরু করে। তাদের এলোপাতাড়ি মারধরে আমি মুখ, মাথা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই।'
অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে. এম. বশির উদ্দিন তুহিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান বলেন, 'সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে আমি শহীদ মিনারে ছিলাম আর ঘটনা ঘটেছে বাইরে। এ বিষয়ে বশিরই ভালো বলতে পারবে।'
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, 'নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে চলে যাওয়ার পর নাগরিক কমিটির একাংশের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে আসে। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলও ছিল। তাকে দেখে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করে। সোহেল যে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত সেটির প্রমাণও পুলিশ পেয়েছে।'
তিনি বলেন, 'পুলিশ সোহেলকে হেফাজতে নেয়ার সময় তাকে মারধর করতে থাকে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক মাহমুদকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।'