আজ (শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এর প্রতিবাদ জানান বান্দরবানের ছাত্র সমাজ। এসময় তারা বলেন ছাত্রদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি আর এসময় আসামিদের জামিন দেয়ার হয়।
শুধু তাই নয় সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যে আদালতে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে ছাত্র সমাজের মামলার গ্রেপ্তারকৃত একাধিক আসামিকে জামিন দিয়েছেন এবং মামলার অন্যান্য আসামিদের অতিদ্রুত জামিন করবেন বলে আদালতে বক্তব্য প্রদান করেন যা খুবই দুঃখজনক কারণ এসব আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাইরে এসে আবারো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করবে তাই ছাত্ররা এর প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও তারা বিচারকের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়ারও ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লবের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা হামলার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবু তৈয়ব চৌধুরি ও মোশারফ হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত এবং অপর একটি মামলার আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরীকেও জামিন দেন আদালত।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন না হওয়ায় জেলা পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে আর এতে সাধারণ জনগণ স্বাভাবিক সেবো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতায় ২৮টি ন্যাস্ত বিভাগ রয়েছে তবে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বর্তমানে পলাতক থাকায় এই বিভাগগুলোর কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানায় তারা।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রশাসনে নিয়োগকৃত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত দলীয় দোসরারা এখনোও বহাল তবিলতে থাকায় তারা বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এসময় নেতৃবৃন্দরা, সাংবাদিকসহ সাধারণ জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল, মুহাম্মদ মুসা, হাবিব আল মাহমুদ, আশরাফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।