আজ (বুধবার, ১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাইকোর্ট চত্বরে ঢুকে পড়েন তারা। একই দাবিতে 'বৈষম্যবিরোধী আইনসমাজ' ব্যানারে আইনজীবীরাও সেখানে জড়ো হতে থাকেন।
এদিকে গেল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আওয়ামী লীগপন্থী বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্জতে জড়ো হতে শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে বিশাল মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় আওয়ামীপন্থী বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে মিছিলের একটি অংশ মাজার গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় এসব বিচারপতিদের অপসারণের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, 'যেকোনো সময়ে, যেকোনো দিন, যেকোনো মুহূর্তে যদি এই বাংলায় আর কোনো হাসিনার দালাল খুনি হাসিনাকে নিয়ে একটি স্লোগান দেওয়ারও স্পর্ধা দেখায়, তাহলে ছাত্রজনতা একসাথে তাদের প্রতিহত করবে।'
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'ফ্যাসিস্টদের যে দালাল বিচারকরা রয়েছে তাদের অপসারণ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা জজ, জেলা দায়রা জজ কোর্টসহ যত বিচারালয় রয়েছে প্রতিটি বিচারালয়ে আওয়ামী দোসর, আওয়ামী লীগের প্যানেলে যে আইনজীবীরা রয়েছে তাদের অপসারণ করতে হবে।'
এছাড়া আওয়ামীপন্থী বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দাবি না মানা হলে কোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।’
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সবাই বুক ফুলিয়ে রাজপথে চলবো, মুখ ফুটে কথা বলবো। যদি আমাদের জবানকে কেউ বন্ধ করে দিতে চায় তাহলে তার প্রতিরোধ করার জন্য আবার রাজপথে নেমে যাবো।'
এর আগে দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারককে চায়ের দাওয়াত দেন প্রধান বিচারপতি। পরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের আল্টিমেটামের পর ১২ বিচারককে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি।