আজ (রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। মামলার পর থেকে পলাতক থাকায় রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের নির্দেশে ফেনী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষার আহবান করলে স্থানীয়ভাবে ৭৩ জন প্রার্থীকে ফেনী পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৪৫জন পুরুষ যার মধ্যে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করা হয়।
এর মধ্যে মোরশেদ আলম মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছিলো। চূড়ান্ত হওয়ার পর তাকে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য মহালছড়ি খাগড়াছড়িতে পাঠানো হয় এবং সে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোগদান করেন তিনি। এরই মধ্যে তার দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়।
যাচাইবাছাই শেষে মোরশেদ আলমের দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদটি ভূয়া বা জাল প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রোববার বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে শুনানি শেষে বিচারক আসামি মোরশেদ আলমকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।