বিশেষ করে শিলাবৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষকদের। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। এই শিলাবৃষ্টিতে আম ও ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শতকরা ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
আজ (শুক্রবার, ২ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী।
গোমস্তাপুর উপজেলার ধান চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার চলতি বছরে পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টি হয়। এই শিলা বৃষ্টিতে আমার জমির অর্ধেক ধান মাটিতে ঝড়ে পড়েছে। এমনি ধানের সবগুলো গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।’
নাচোল উপজেলার আম চাষি বাতেন আলি বলেন, ‘আমার বাগানে ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হবে এমন আশঙ্কা করছি। আর কালকে শত শত মন আম পড়ে গেছে। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘সদরে ৪৫ মিলিমিটার, নাচোলে ৩৮ মিলিমিটার ও গোমস্তাপুরে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।’
এই শিলা বৃষ্টিতে জেলার ১৭৫ হেক্টর ধানের, ৭৩ হেক্টর আমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এমনকি কিছু সবজির আবাদের জমি নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায়েছেন বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।