এসময় সংস্কারের বিষয়ে গণভোট অর্ন্তভুক্ত উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আমি আদালতে গিয়েছি। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের ব্যাপারে ত্রয়োদশ সংশোধনী ফিরিয়ে আনতে আমি আদালতে গিয়েছি এবং এটি ফিরে এসেছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর রায় হওয়ার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। দূর্ভাগ্যবশত এটি স্থগিত হয়েছে আপিল বিভাগে। উচ্চ আদালত এটি আংশিকভাবে বাতিল করেছে। আগামী মার্চে এটির শুনানির তারিখ পড়েছে। তখন আশা করি তত্ত্ববধায়ক সরকার ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে কতগুলো মৌলিক সংস্কারের বিষয়ে আপনাদের-আমাদের সব নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ হবে, ৪৮টি বিষয়কে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ চারটি প্যাকেজে “হ্যাঁ-না” ভোটের মাধ্যমে গণভোট হবে। “হ্যাঁ” ভোট মানে আপনি সংস্কারের পক্ষে। আর “না” ভোট মানে যেভাবে চলছে সেভাবে চলবে, মানে স্বৈরাচারি কাঠামো অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকার যে প্রচার-প্রচারণা চালানোর কথা, সেটি তারা করেনি। সরকার হলো একটি “জগদ্দল পাথরের” মতো। এ জগদ্দল পাথর সরানো বড় দূরহ। আশা করি তারা প্রচার-প্রচারণা চালাবে। আমরা সুজনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি, শিগগিরই গণভোটের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাবো। মানুষ যেন জেনে বুঝে ভোট দিতে পারে যে, কী কী সংস্কার হবে, এ সংস্কার কী সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।’
মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ সুজনের সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল সভাপতিত্ব করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ্য ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকি মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।





