উদ্বোধনী অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মো. নুরুজ্জামান। প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পটির কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন (জিহা) প্রজেক্টের জেন্ডার ও ইনক্লুশন স্পেশালিষ্ট মর্জিনা খাতুন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নোয়াখালীসহ দেশের ১২টি উপকূলীয় জেলায় এর কার্যক্রম চলছে। উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে মানুষকে দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে নারী, পুরুষ, মেয়ে, ছেলে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় মানুষের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও সংকটকে চিহ্নিত করে তাদের জন্য মানবিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্পটির নোয়াখালী চ্যাপ্টারের কার্যক্রমের সূচনা হয়।
আরও পড়ুন:
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের উপকূলীয় দুর্যোগ-প্রবণ জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী একটি। বছরের অধিকাংশ সময় এখানে নানাবিধ দুর্যোগ লেগে থাকে। দুর্যোগকালীন আমরা স্থানীয়দের অবহিত করতে পারলেও স্থানীয়রাই বেশি ভূমিকা রাখেন। তারাই দুর্যোগের মুখোমুখি হয়ে একে মোকাবিলা করতে হয়। কোনো দুর্যোগকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো না। কিন্তু আমরা যদি আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে পারি তাহলে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে। অতীত সমীকরণ থেকে দেখা যায়, দুর্যোগে ৯০ ভাগ মৃত্যু হয় নারী ও শিশুর। সেজন্য দুর্যোগকালীন তাদের কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেজন্য এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।’
এসময় নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মরিয়ম সিমি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শান্তনু কুমার দাস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাফায়েত হোসেন তালুকদার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কাদের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন্নাহারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নারী সংগঠনের প্রতিনিধি ও জেলার বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।





