নিম্নমানের জ্বালানিতে মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকে ক্ষয়, উদ্বেগ-ক্ষোভ চালকদের

মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংক ক্ষয়ে গেছে
মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংক ক্ষয়ে গেছে | ছবি: এখন টিভি
0

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিম্নমানের জ্বালানির কারণে দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংক। নতুন-পুরনো বহু মোটরসাইকেলের ট্যাংকে ছিদ্র হয়ে নষ্ট হচ্ছে তেল, বাড়ছে ইঞ্জিন ক্ষতির ঝুঁকি। এতে উদ্বেগ আর ক্ষোভে ভুগছেন চালকরা।

সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পুকুরটুলি গ্রামের ঠিকাদার ওয়ালিদ আহম্মেদ পেশাগত কাজে ব্যবহার করেন তিনটি মোটরসাইকেল। সম্প্রতি তিনটি মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকেই মরিচা ধরে ছিদ্র তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মোটরসাইকেল পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। আর একটি ট্যাংকে পট্টি লাগিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চালাতে হচ্ছে।

ওয়ালিদ আহম্মেদ বলেন, ‘তিনটি মটরসাইকেলেরই একই সমস্যা। জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে গেছে। নতুন ট্যাংক দিয়ে চেঞ্জ না করলে হবে না।’

এলাকাবাসী ও চালকদের অভিযোগ, জ্বালানিতে অতিরিক্ত সালফার বা পানি মেশানোয় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, ট্যাংক থেকে তেল চুইয়ে পড়ায় যেকোনো সময় আগুন লাগার মতো বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পাম্পের মালিকেরা বেশি মুনাফা লাভের আশায় তেলের মধ্যে পানি দিয়ে এমন সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন:

ফিলিং স্টেশন মালিকদের দাবি, তারা বিভিন্ন তেল ডিপোতে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনো কার্যকর সমাধান পাচ্ছেন না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন আলিম বলেন, ‘তেলের মান এত খারাপ। আমরা কোনোভাবেই এর প্রতিবাদ করে সমাধান পাচ্ছি না। আমরা যখনই প্রতিবাদ করেছি, তখনই আমরাদের কোনো না কোনোভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমরা অনেকটাই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি বলতে পারেন।’

অন্যদিকে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিআরটিএ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. শাহজামান হক বলেন, ‘তেলের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করার বিধান রয়েছে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিএসটিআই করে থাকেন। আমরা চেষ্টা করব প্রশাসনের মাধ্যমে এগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমাধান করা।’

মোটরসাইকেল চালক ও মালিকদের মতে, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ট্যাংক ক্ষয়, ইঞ্জিন নষ্টের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও বাড়বে। তাই জ্বালানির মান নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি ও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এফএস