নরসিংদী জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে বাড়ছে দালালের দৌরাত্ম্য

নরসিংদী জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস
নরসিংদী জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস | ছবি: এখন টিভি
0

নরসিংদীর জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সবখানেই দালাল ও বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অফিসে প্রবেশ করার আগেই নিচে কয়েক ধাপে দালালের মুখোমুখি হতে হয়। দালালদের জন্য বাড়তি অর্থ যাচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

বিদেশগামী কর্মীদের সেবা দেয়ার কথা থাকলেও নরসিংদীর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে দিনভর থাকে বহিরাগতদের দখলে। পরিচয় গোপন করে ভবনে প্রবেশ করতেই সিঁড়িতে দেখা গেল এক দালাল। এক সেবাপ্রত্যাশীকে সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কক্ষের বাইরে।

মূল কক্ষের ভেতরের অফিসের ওপর রাখা ফাইলপত্র ঘাটাঘাটি চলছে অবাধে। এখানে কে কোন উদ্দেশ্যে এসেছেন বোঝার উপায় নেই। বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে এ খোলা টেবিলের দায়িত্বে তাৎক্ষণিক কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দক্ষ অভিবাসন ব্যবস্থাপনা এবং কর্মী কল্যাণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য দেশের বাইরে কর্মসংস্থান তৈরি করাই জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের মূল লক্ষ্য। প্রতি মাসে এখান থেকে দুই হাজারের বেশি তালিকাভুক্ত সেবাপ্রত্যাশী সেবা নিয়ে থাকেন। ।

আরও পড়ুন:

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে দালাল এসে বিভিন্ন লোকজনকে বিভিন্ন হয়রানি করে। নিচে থেকেই লোকজনকে ধরে। বলে, আমি এটা করে দেবো, ওটা করে দেবো, এত টাকা লাগবে। বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে তাদের বিপদে ফেলে দেয়।’

টাকা দিলে কাজ দ্রুত হয় এই কথার উপর ভর করলে অনুমান করা যায় অফিসের ভেতরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত। তবে এই ঘটনার সত্যতা কতটুকু? জানতে চাইলে এখানকার কর্মকর্তা পুরো বিষয়টিকেই অস্বীকার করেন। দাঁড় করান ভিন্ন ব্যাখ্যা।

নরসিংদী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক এ কে এম দাউদুল হক বলেন, ‘এখানকার কোনো দালাল আমার উপস্থিতিতে কেউ ভেতরে ঢুকেছে এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার এখানে কোনো দালাল ঢোকার সৎসাহস দেখায় বলে আমি বিশ্বাস করি না। এখন যারা আসেন বিভিন্ন পরিচয়ে আসেন। যখন বুঝি যে তার উদ্দেশ্য অন্য তখন বলি যে, প্লিজ দয়া করে এখান থেকে বের হন। আপনি যদি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে কথা বলেন। না হলে এখান থেকে যান।’

সরকারি সেবাকে দালাল ও হয়রানিমুক্ত করার দাবি সেবাগ্রহীতাদের।

এসএস