আজ (বুধবার, ১২ নভেম্বর) সকাল থেকে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী’ ব্যানারে জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার দাবিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিতে চাইলে চেয়ারম্যান এসময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন:
তবে দুপুর দুইটার দিকে জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ ও প্রতুল দেওয়ান আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় খুব শিগগিরই দেশে ফিরলে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার নতুন তারিখ দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহার করেননি আন্দোলনকারীরা।
আগামী ১৪ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এবার ৫৮৯টি শূন্যপদে আবেদন করেছিলেন ৬ হাজার ৬৪৮ জন প্রার্থী। এর আগে এই নিয়োগ কার্যক্রমে নির্ধারিত লিখিত পরীক্ষা ২০২২ সালের ২৯ মে এবং ২০২৪ সালের ২০ মে— দু’দফায় স্থগিত করা হয়। এবারও একইভাবে ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এতে ক্ষুব্ধ চাকারি প্রত্যাশীরা বারবার পরীক্ষা স্থগিতের কারণে তারা আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পড়ছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একটি নিয়োগ কিভাবে ৩ বার স্থগিত করা হয়। নির্বাচনকে অজুহাত দেখিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করা আসলে অন্যায্য সিদ্ধান্ত। অবিলম্বে লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণার দাবি জানান তারা।





