সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারি তোলারাম কলেজে তরুণ উদ্যোক্তা সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তার বক্তব্য শেষে ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্য দিতে শুরু করলে তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মনির হোসেন জিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন হলরুমে প্রবেশ করে।
এসময় তারা বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দোসর কেউ থাকতে পারবে না।’
ছাত্রদলের নেতা মনির হোসেন জিয়া ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হাতেমকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা করেছিলেন-এমন ব্যক্তিকে এ অনুষ্ঠানে স্থান দেওয়া যাবে না।’ এসময় মোহাম্মদ হাতেমের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাদানুবাদ হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে একপর্যায়ে মোহাম্মদ হাতেম অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন, পরে অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যায়।
সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. মনির হোসেন জিয়া বলেন, ‘সে জুলাই আন্দোলনে অর্থদাতা। সে আওয়ামী সরকারের একজন দোসর। আমাদের কলেজের চারজন শহিদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর কলেজে এসেছে অতিথি হিসেবে এটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারে নাই। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু আমি তাদের বড় ভাই হিসেবে ওদেরকে শান্ত করি। আমরা তাকে সসম্মানে চলে যেতে বলি। তখন তিনি চলে যান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমার মাধ্যমে কোনো স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হওয়া কোনো মহলের প্ররোচনায় ছাত্ররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে তারা আমার সম্পর্কে জানে না, জানলে এমনটা করতো না।’
কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার কথা উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমার কাজ সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পলিসি নির্মাণ করা। ২০১০ সালেই আমার বিকেএমইএর সভাপতি হওয়ার কথা থাকলেও আমি সভাপতি হতে পারিনি। সেলিম ওসমান আমাকে বলেছিল শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী এবং আমি যতদিন জীবিত থাকব ততদিন সভাপতি হতে পারবে না।’





