বান্দরবানে চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ

নির্যাতনের সময়
নির্যাতনের সময় | ছবি: সংগৃহীত
0

বান্দরবানে চুরির অভিযোগ এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সদর ইউনিয়ন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বান্দরবানের সদর উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নের রোয়াজা পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের চিনুমংয়ের চায়ের দোকান এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটায়।

বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের বাবা আহমদ হোসেন বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। ৬-৭ জন আসামি অজ্ঞাত হিসেবে দেখান। পরে বিচারক মামলাটি বান্দরবান সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো, বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গোয়ালিয়াখোলা এলাকার সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলমের পুত্র শহিদুল ইসলাম(৩৬), সহ-সভাপতি মৃত হামিদ বকসুর ছেলে মো. ইছহাক(৫৮), সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮), মৃত নজু মিয়ার ছেলে শাহ্ আলম (৬০), আহমদ কবিরের ছেলে মো. ওসমান (৪৫), মো. সুজন (৩০), আবুল বশরের ছেলে জিকুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জন।

আরও পড়ুন:

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রোববার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে উপরোক্ত ঘটনাস্থলে অর্থাৎ রোয়াজ্য পাড়া, ২নং ওয়ার্ড, ৩নং বান্দরবান সদর ইউনিয়ন চিনুমংয়ের চারের দোকানে ভিকটিম তাজ উদ্দিনকে (২৪) আটক করে। পরবর্তীতে আসামিগণ ভিকটিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে লাঠি দিয়ে হাতে, পায়ে, পিঠে, কোমরে বেদম মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এতে আসামিগণের নির্মম, নিষ্ঠুর, মধ্যযুগীয় বর্বরতা সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামিগণ ভিকটিমের মুখে পানি চিটালে জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরার পর আবারও ক্ষিপ্ত এবং উগ্র হয়ে ভিকটিমের হাতের নক প্লাস দিয়ে তুলে ফেলে।

আসামি কর্তৃক গ্লাস দ্বারা নক তুলার যন্ত্রণায় একপর্যায়ে ভিকটিম যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে উপস্থিত স্বাক্ষীদের কেউ একজন থানায় ফোন করলে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

সেজু