র্যালি নিয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অংশগ্রহণকারীরা। পরে পৌরপার্কে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় র্যালি। শোভাযাত্রার ঢাক-ঢোলের তালে তালে নেচে গেয়ে যোগ দেয় দূর-দূরান্ত থেকে আসা আদিবাসী নারী-পুরুষরা।
বক্তারা জানান, ইলা মিত্র একজন বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেত্রী ছিলেন। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিলো উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ নয়, এক ভাগ পাবেন জমিদার-জোতদার, দুই ভাগ নেবেন কৃষক। ভূমিহীন কৃষক ও সাঁওতালদের সংগঠিত করে তারা গড়ে তোলেন প্রতিরোধ বাহিনী। তাই আজকে তাকে আমরা স্মরণ করতে চাই।
আরও পড়ুন:
এসময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি মিথু শিলক মুরমু, আদিবাসী গবেষক ও লেখক, হিংগু মুরমু, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি বিচিত্রা তির্কিসহ অন্যরা।
ইলা মিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায়। জন্মের সময় তার নাম রাখা হয় ইলা সেন। রমেন মিত্রের সঙ্গে বিয়ের পর স্বামীর পদবি নিয়ে তিনি ইলা মিত্র নামে পরিচিতি লাভ করেন। নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে, তিনি ১৯৪৩ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে বিয়ে হয় বিপ্লবী রমেন মিত্রের সঙ্গে। পরে দু’জন মিলে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের রাজশাহী জেলার নবাবগঞ্জের নাচোল অঞ্চলের তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।





